দ্রুত অনুমোদন
অনলাইন ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাড়াতাড়ি লোনের অনুমোদন পাওয়া যায়।
I have read through the Terms of Service for use of Digital Platforms as provided above by HFCL and I provide my express consent and agree to the Terms of Service for use of Digital Platform.
সময় বদলেছে আর ভারতীয় নারীরা এখন শুধু নিজেদের বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ নেই। তার বদলে অনেক মহিলারাই এখন নানা রকম কাজের পরিসরে উদ্যোগী হচ্ছেন অথবা ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছেন। ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আর্থিক সংস্থাগুলি এখন মহিলাদের উন্নতির জন্য বিশেষ ধরনের ঋণ প্রকল্প চালু করেছেন। উচ্চ শিক্ষা, ভ্রমণ, বিবাহ ও অন্যান্য লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে মহিলাদের পার্সোনাল লোন নেবার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুদের হার রাখা হয়েছে।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ভারত সরকার উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও উদ্যমী মহিলাদের পক্ষে অনুকূল কিছু ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোনের প্রকল্প এনেছেন, যাতে আর্থিক অনটনের কারণে তাঁদের প্রচেষ্টা শুরুতেই আটকে না যায়। যাইহোক, ডিজিট্যাল লোন প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় এখন মহিলাদের লোনের অনুমোদন পেতে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না।
মহিলাদের জন্য পার্সোনাল লোনের যোগ্যতামান ঋণদাতা অনুযায়ী আলাদা হতে পারে। বিভিন্ন লোনের জন্য লোন নেবার উদ্দেশ্য ও ঋণগ্রহীতার পেশা অনুসারে প্রার্থিত যোগ্যতামান ভিন্ন হতে পারে:
অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
বয়স অবশ্যই ২১ বছর ত্থেকে ৫৮ বছরের মধ্যে হতে হবে।
মাসিক উপার্জন কমপক্ষে ১৫,০০০ টাকা হতে হবে।
বেতনভোগী মহিলাদের ছয় মাসের বেতনের প্রমাণপত্র বা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ণ ফাইল দিতে হবে।
পার্সোনাল লোনের অনুমোদনের জন্য জরুরী আয়ের প্রমাণপত্র না থাকলে মহিলারা একজন জামিনদার রাখতে পারেন অথবা ফর্ম ১৬ দাখিল করতে পারেন।
একজন স্ব-নিয়োজিত মহিলার ক্ষেত্রে ব্যবসার স্থিতিশীলতা ও ৬ মাসের ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত বিবরণ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
যদি লোনের জন্য ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে আবেদন করা হয়ে থাকে কিংবা কোন অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের সংখ্যা নগণ্য হয়। তাই, উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহিলারা যদি পার্সোনাল লোন ব্যবহার করে তাঁদের লক্ষ্য পূরণ করতে চান তবে তাঁদের কাছে নিম্নলিখিত প্রমাণপত্রাদি থাকতে হবে:
পরিচয়ের প্রমাণপত্র - আধার কার্ড/স্মার্ট কার্ড আকারে ড্রাইভিং লাইসেন্স/প্যান কার্ড।
ঠিকানার প্রমানপত্র - পাসপোর্ট/রেশন কার্ড/ভোটার আইডি/আধার কার্ড।
কাজের বিবরণ (বেতনভোগী মহিলার ক্ষেত্রে) - কাজের স্থিতিশীলতা, যেমন কোম্পানির ঠিকানা, পেশা, নিয়োগকর্তার নাম, বেতনের বিবরণ লাগবে।
ব্যবসার বিবরণ (স্ব-নিয়োজিত মহিলাদের ক্ষেত্রে) - কোম্পানির নাম, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ব্যবসার ৬ মাসের স্থিতিশীলতার প্রমাণ পেশ করা লোন পাবার জন্য বাধ্যতামূলক।
দুর্দশাগ্রস্থ মহিলাদের জন্য পার্সোনাল লোন যেন আশীর্বাদের মতো। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোন ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপের মাধ্যমে অথবা কোন ওয়েবসাইট থেকে সহজেই পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করা যায়, যেটা তাঁদের আশার আলো দেখায়। প্রতিটি লোন অ্যাপের ডিজাইন আলাদা হলেও প্রত্যেকের জন্যই প্রাথমিক কিছু নিয়মকানুন একই ভাবে অনুসরণ করতে হয়:
আপনার অ্যানড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে স্টোর থেকে লোন অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
আপনার মোবাইল নম্বর ও এরিয়া পিন কোড এন্টার করুন।
আপনার মোবাইল ফোনের সাথে লিঙ্ক করা আধার কার্ড নম্বর এন্টার করুন। যদি আপনার মোবাইল নম্বর আপনার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা না থাকে তাহলে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজের কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে পারেন।
নিজের লোনের পরিমান, পরিশোধের মেয়াদ এবং সুদের হার ঠিক করে নিয়ে আপনার ইএমআই কত হবে তা আগে থেকেই ইএমআই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে জেনে নিন।
নিজের ব্যক্তিগত, পেশাগত ও আর্থিক বিবরণ দিন।
লোনের আবেদনের উদ্দেশ্য নির্বাচন করুন।
আবেদন পত্র সম্পূর্ণ হবার পর যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলেই লোনের টাকা সরাসরি আপনার নির্ধারিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পরিশেষে বলি, মহিলাদের জন্য অনলাইন ইনস্ট্যান্ট পার্সোনাল লোন একটি আশির্বাদের মতো। এটি মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতার মানকে উন্নত করেছে, এবং তাদের উৎসাহ দান করেছে যাতে তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো ভালো পারফর্ম করতে পারেন।